সম্পাদকীয়, ভয়েস অব ফেনী।
সম্প্রতি সময়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোষ্ট “সান্ডা” ধরা, খাওয়া, বিক্রয় কিংবা কফিল কে উপহার দেওয়া।
অনেকেই ভুলবশত সান্ডাকে বাংলাদেশের গুইসাপের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। তবে গুইসাপ একটি মাংসাশী, বিষাক্ত উভচর প্রাণী যা ইসলামে হারাম। অন্যদিকে সান্ডা নিরামিষ ভোজী এবং বিষাক্ত নয়। তাই সান্ডা হালাল হতে পারে, গুইসাপ নয়।
নবী করিম (সা.)-এর সামনে একবার তার সাহাবীরা সান্ডা পরিবেশন করে। তখন তিনি সেটি খাননি। সে সময় তার সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি এটি খেতে অপছন্দ করেন, এটি হারাম?’
এই প্রশ্নের উত্তরে নবী করিম (সা.) বললেন এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না। (সহীহ বুখারী: ৫৫৩৭, সহীহ মুসলিম: ১৯৪৪)
অর্থাৎ, এটি তিনি নিজে না খেলেও সাহাবীদের খেতে নিষেধ করেননি। এমনকি সাহাবীরা তার সামনে এটি খেয়েছেন।
চিকিৎসা ও ব্যবহার- তেল ওষুধ হিসেবে সান্ডা ব্যবহৃত হয়, তবে নিশ্চিত প্রমাণ সীমিত।
তাই বলা যায় সান্ডা খাওয়া হারাম নয়, বরং হালাল। তবে যদি কেউ এটি অপছন্দ করেন বা অরুচিকর মনে করেন, তাহলে না খাওয়াই উত্তম। ইসলামের মতে শরীরের ক্ষতি না হয়, এমন সকল কিছুই হালাল যদি না সেটি নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়।