তমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ভয়েস অব ফেনী।
বড়োলোক তার গাড়ী নিয়ে আইন অমান্য করলে ট্রাফিক আইনে মামলা হয়। কিন্তু গরিব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ট্রাফিক আইন ভেঙে চালালে সেটা ভেঙে ফেলতে হবে। মামলা বা জরিমানায় রাষ্ট্র ক্ষান্ত হবে না। শুয়োরের বাচ্চারা ঘুষ নিতে জানে, কাজ করতে জানে না।
কিন্তু অটোরিকশা বিক্রির সময় সরকার ঠিকই ভ্যাট নিতে জানে। সঙ্গে বিভিন্ন পার্টস আছে এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি হয়। ৫০ পার্সেন্টের উপর শুল্ক সরকার তখন ঠিক নিতে পারে।
এই অটো চালক, এই রিকশা চালকের রক্তে জুলাই হয়েছে। কোনও আমলা রক্ত দেয় নাই। পক্ষে দাঁড়ায় নাই। কিন্তু এই রাষ্ট্রযন্ত্র নিপীড়কই রয়েই গেছে।
অটোরিক্সা না চলতে দিলে, দেশে তা ঢুকতেই দিবেন না। উৎপাদন বন্ধ করেন, আমদানি বন্ধ করেন, মেরামতের কারখানা বন্ধ করেন, মোবাইল কোর্ট দিয়ে বড় অংকের জরিমানা করেন, জেল দেন। কিন্তু ধ্বংস কেন করতে হবে? অটোর সমস্যা আমরা বুঝি। আমি নিজে ভুক্তভোগী ও বিরক্ত। কিন্তু এটা কি সমাধান? শাস্তি কি শুধু গরীব অটো চালকের?
এই দুর্ভাগা দেশে তিন কিসিমের কর্মকর্তা আছে। সজ্জন, যাঁরা ঘুষ খান না, যেমন আপনি। আছে বদলোক যারা ঘুষ খায় এবং আছে শুয়োরের বাচ্চারা, যারা ঘুষ নেয় অথচ ঘুষ নিয়েও কাজ করে না।
একটা রাষ্ট্র কখন শুয়োরের বাচ্চাদের রাষ্ট্র হয় বুঝবেন যখন তারা ট্যাক্স নেয়, বানানোর অনুমতি দেয়, চালানোর অনুমতি দিয়ে আবার তা ভাঙে। ষোল আনা নেয়, কিন্তু গরিবের পেট বুঝে না।
আমরা কি শুয়োরের বাচ্চাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে কখনোই বেরোতে পারব না?