বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে একটি বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন সরকার। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল’ নামে তিনটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং উত্তরবঙ্গে উপযুক্ত জমি খোঁজা হচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে স্বাস্থ্যখাতে চীনা সহায়তা নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে চীনের সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। এদেশের ওষুধ শিল্প প্রায়শই তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করে। এছাড়াও মেডিকেল সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির একটি বড় অংশও চীন থেকে আসে। প্রতি বছর ২০০-৩০০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ করতে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বসেরা বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এই হাসপাতাল গুলো নির্মিত হবে।
তিনটি “চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল” এর মধ্যে একটি রংপুর বিভাগে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অপর দুইটি হাসপাতালের একটি হতে পারে চট্রগ্রাম বিভাগে। তার জন্য উপযুক্ত স্হান হতে পারে ফেনী। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকু পেতে কিভাবে বছরের পর বছর দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছে, ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছে সেগুলো তুলেধরা দরকার। পাশাপাশি জেলাভেদে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা, প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করে যার যার অবস্হান থেকে চেষ্টা করা দরকার।
ফেনীকে স্বাস্থ্যসেবার একটি হাব হিসেবে গড়ে তুললে এটি পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য কয়েকটি জেলার সুচিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হতে পারে।
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত। এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি। হতে হবে কান্ডারী, আনতে হবে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ঝান্ডা।