নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবপুর।
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আল আমিন মার্কেটে মাওলানা আব্দল হাই হুজুরের নতুন বাড়ীতে লাথি মেরে পেটের বাচ্চা হত্যার ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মজিবুল হক নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটায়। মজিবুল হক একই গ্রামের সুরুত আলী ভুইয়া বাড়ির বাসিন্দা।
বিস্তারিত খবরে জানা যায় মজিবুল হক এর বিবাহিতা মেয়ে পরকিয়ায় জড়িত। বিয়ের পরও তার আগের প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ আছে এমন খবর জানাজানি হলে মজিবুল আকলিমাদের পরিবার কে সন্দেহ করে। সেই নিয়ে মজিবুল নিজে ও তার দলবল নিয়ে আকলিমাদের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। আকলিমা ও তার মা বাধা দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতে চাইলে দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এলোপাতাড়ি লাথি ও মারামারিতে আকলিমার পেটে লাথি লাগে। অসুস্থ অবস্হায় আকলিমাকে ফেনী হায়দার ক্লিনিক নিয়ে গেলে জানাযায়, লাথির আঘাতে তার ৪ মাস গর্ভের ভ্রুনটি নষ্টহয়ে গেছে।
একজন গর্ভবতী নারীর পেটে লাথি মেরে তার গর্ভে থাকা নিষ্পাপ নবজাতককে হত্যা করা হয়েছে – এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম অপরাধ। একজন মা আর তার অনাগত সন্তান-দুজনের জীবন নিয়ে এমন বর্বরতা কল্পনাকেও হার মানায়।
এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ন্যায়বিচার যেন বিলম্বিত না হয়, যেন কোনো রকম প্রভাবশালী চক্রান্তে এই ঘটনা চাপা না পড়ে-সেই আহ্বান জানাই প্রশাসনের কাছে।