আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের অন্যতম দোসর ও দুর্নীতিবাজ কথিত ড. বেলাল ও গিরগিটি খ্যাত মুসা মিয়া কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী ফাজিলপুর ওয়ালিয়া ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে "সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ" অদ্য ৬ই মার্চ ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব মাইন উদ্দিন খন্দকার, মুল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব আহাম্মদ উল্ল্যাহ, সহকারী অধ্যাপক (আরবী) ও শিক্ষক প্রতিনিধি, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জনাব বেলায়েত হোসেন হারুন, জনাব মাহবুবুল হক, জনাব ফয়েজ আহাম্মদ (মুক্তিযোদ্ধা)।
বক্তাগন ড. বেলাল ও মুসা মিয়া কর্তৃক বিভিন্ন পত্রিকায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং ফ্যাসিষ্টদের অন্যতম দোসরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
যে সকল কারণে বিগত গভর্নিং বডির সহ সভাপতি/ দাতা সদস্য জনাব বেলাল উদ্দিন আহম্মদ ও জনাব মুছা মিয়াকে পুনরায় (বর্তমান ও ভবিষ্যতে) কখনো গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে মনোনীত না করার পক্ষে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অবস্থান।
০১. প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকবৃন্দের সাথে দাম্ভিকতাপূর্ণ আচরণ ও অসদাচরণ।
০২. অত্র মাদ্রাসা মসজিদের সাবেক বিশিষ্ট ইমাম ও খতিব জনাব হাফেজ মোশাররফ হোসাইনকে ঠুনকো কারণে শোকজের মাধ্যমে হেনস্তা করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করা।
০৩. রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে প্রতিষ্ঠানকে হুমকির সম্মুখীন করা।
০৪. আরবি প্রভাষক জনাব মুহাম্মদ ইলিয়াছকে অসত্য ও ভুয়া অভিযোগ উত্থাপন করে ২ বছর যাবত প্রাতিষ্ঠানিক বেতন ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।
০৫. সহকারী শিক্ষক জনাব মোবারক উল্লাহ খোন্দকারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিসি মহোদয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে পুনঃতদন্ত দাবী করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা।
০৬. বিগত সরকারের আমলে ক্লাস চলাকালীন সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্রদের উপর আক্রমণ হওয়া সত্ত্বেও সহ-সভাপতি হিসেবে কোন ভূমিকা না রাখা।
০৭. দীর্ঘ ৩০ বছরের আবাসিক ব্যবস্থাপনা জোরপূর্বক বন্ধ করে দূরদূরান্ত থেকে আগত ছাত্রদের লেখাপড়ার প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি, ফলাফল বিপর্যয় ঘটানো এবং বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আর্থিক ক্ষতি করা।
০৮. মাদ্রাসার সভাপতি জেলা প্রশাসকের অগোচরে বিভিন্ন সময়ে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া।
০৯. শিক্ষক মিটিং-এ মাদ্রাসার সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয় সম্পর্কে এই মন্তব্য করা যে, " জেলা প্রশাসক আসবেন-যাবেন, সহ-সভাপতি হিসেবে আমিই সব।"
১০. প্রায় প্রতিটি শিক্ষককে মানসিক টর্চার করা এবং চাকুরীচ্যুতির হুমকি দেওয়া।
১১. সরকারি বিধির তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষের উপর জোর প্রয়োগ করে জনাব মুসা মিয়াকে গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করা। (উল্লেখ্য যে, অভিভাবক হিসেবে জনাব মুসা মিয়ার কোনো সন্তান-সন্ততি অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছিল না)।
১২. অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দকে পরস্পর প্রতিপক্ষ বানিয়ে প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া ও শান্তিশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানো।
১৩. অতিরিক্ত খবরদারীর মাধম্যে-গভর্নিং বডির মিটিং-এ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের... হেনস্থা করা।