১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেহায়া দিবস। ১৪ই ফেব্রুয়ারি মুসলমানদের জন্য নয়, ৩৬৫ দিনই মুসলিমদের ভালোবাসা দিবস। আসুন বিশ্ব বেহায়া দিবসকে না বলি।
ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস যাকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়।
প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিষ্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল, পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। এই দিনটিতে দম্পতিরা, যুবক-যুবতীরা উপহার বিনিময় করে, ভালোবাসার আদান প্রদান করে, যা এক পর্যায়ে বেহায়া পনার পর্যায়ে পোঁছায়। বাংলাদেশেও বর্তমানে এই দিবস পালন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে ভিন্নভাবে "বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" নামে এটি পালিত হয়।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শফিক রহমান, যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক এবং সম্পাদক, ১৯৯৩ সালে ভালোবাসা দিবস পালন করেন। তিনি লন্ডনে পড়ালেখা করার সময় পশ্চিমা সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসেন। যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে তিনি দেশবাসীর নিকট ভালোবাসা দিবসের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশে তাকে ভালোবাসা দিবসের জনক বলা হয়।
বাংলাদেশের মত ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের সংস্কৃতি এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসা দিবস পালন গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ শরীয়তে দিবসটির কোন ভিত্তি নেই। তাই ১৪ই ফেব্রুয়ারী এই সব বেহায়াপনা বন্ধে কঠোর ব্যবস্হা গ্রহন জরুরি। বিশেষ করে পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল সমূহে বিশেষ নজরদারি ও তল্লাশির ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।