খাল খনন, সংস্কার ও উদ্ধার কর্মসূচী নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। বিগত বছরগুলোতে এই কাজে তেমন অগ্রগতি দেখা না গেলেও ঢাকঢোল পিটিয়ে কাজের উদ্বোধন করতেন মেয়রগন। তবে এবার যুক্ত হলো ভিন্ন মাত্রা।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশন খাল সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধন করতে তিন উপদেষ্টা যে পথে যান, সেখানে বিছানো ছিল লালগালিচা। ওই গালিচা বিছানো পথে হেঁটে রোববার সকালে তাঁরা বাউনিয়া খালের খননকাজ শুরুর মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ছয়টি খালের সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেছেন।
খালের পাড় থেকে ওই ভাসমান খননযন্ত্রে যেতে অস্থায়ী একটি পথ তৈরি করা হয়। ওই পথে বিছানো ছিল লাল রঙের একটি কার্পেট। তিন উপদেষ্টাসহ অন্য কর্মকর্তারা ওই পথে হেঁটে খালে থাকা ভাসমান খননযন্ত্রের ওপরে যান। উপদেষ্টারা খননযন্ত্রে ওঠার পর যন্ত্রটি চালু করে খালের খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। উপদেষ্টাদের নিয়ে খাল থেকে কয়েকবার যন্ত্রের সাহায্যে খনন করা মাটি পাড়ে ফেলা হয়।
সংস্কার সংস্কার বলে মুখে বুলি আওড়ানো উপদেষ্টা গন তাদের পূর্বসূরীদের সেই গঁদ বাধা নিয়ম, প্রটোকল, লাল ফিতার দৌরাত্ব, লাল গালিচার সংবর্ধনা কিছুই পরিবর্তন করতে পারেন নি। আমাদের পলিথিন আপার সর্বশেষে সংযোজন খালের উপর লাল গালিচা।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কই, আমি তো খেয়াল ই করিনি। ডিএনসিসি জানিয়েছে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়। এটি শুধু নিরাপত্তার স্বার্থেই রাখা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যদি অপব্যয় বা চাটুকারিতা না থাকে তাহলে লাল গালিচা কেন? মাটিতে বা বালুতে হাটতে যদি সমস্যা হয়, ঐ উপদেষ্টার ওখানে যাওয়ার দরকার ই বা কি?