ফারুকী চেয়ারে বসে আছে, আর সলিমুল্লাহ খানের মত প্রতিথযশা শিক্ষাগুরু দাঁড়িয়ে আছে! এটা সমগ্র জাতির জন্য লজ্জার নয় কি? আসলে ক্ষমতা কি মানুষকে অন্ধ করে দেয়, বিবেকহীন করে তোলে? স্যারের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি নিজেও ওখানে অসম্মানিত বোধ করছেন। উপদেষ্টা না হলে ফারুকীর মতো লোক চেয়ারে বসা তো দূরের কথা, ওখানে গিয়ে দাঁড়ানোর যোগ্যতাও নেই।
জনাব সলিমুল্লাহ খান এক জন প্রথিতযশা বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও লেখক। তিনি পণ্ডিত ও গণবুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রসিদ্ধ। তার রচনা ও বক্তৃতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিশ্লেষণ মানুষকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। বাংলাদেশের তরুণ লেখক ও চিন্তকদের মাঝে সলিমুল্লাহ খানের যথেষ্ট অনুসারী রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আক্কেল জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট যুক্তি আছে।
যে জাতি এমন একজন বুদ্ধিজীবীকে সম্মান দিতে জানে না সে জাতির কপালে দুঃখ আছে।
ক্রেডিট গোজটু সাইফ উদ্দিন ভূঁইয়া।