গতকাল মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বি.এন.পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক এই প্রধান মন্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে কাতারের আমির সোমবার একটি বিশেষ “এয়ার অ্যাম্বুলেন্স” পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ বিশেষ ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস সহ নানান জটিল রোগে ভুগছেন। ইতিমধ্যে কয়েক বার তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। বিগত সরকারের আমলে বেশ কয়েকবার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলেও, তাতে সাড়া মেলেনি।
বি.এন.পি সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে প্রথমে তাঁকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। কয়েক দিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
বেগম জিয়ার সফর সঙ্গী হিসাবে সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের পরিচর্যা সহকারী ফাতিমা বেগম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন চিকিৎসক, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, একান্ত সচিব এম. আবদুস সাত্তার, প্রটোকল অফিসার এস.এম. পারভেজ।
লন্ডনে অবস্থান করলে ছেলে তারেক রহমান, ছেলে বউ ডাঃ যোবায়দা রহমান, নাতনি জায়মা রহমান জিয়াকে স্বাগত জানান।
৫ আগস্ট গণঅভুত্থানের পর মুক্ত হন খালেদা জিয়া। আইনি প্রক্রিয়ায় তার সাজা বাতিল করেন আদালত। তখন থেকেই কথা হচ্ছিল, এখন আর কেন দেরি করা হচ্ছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য তার শারীরিক অবস্থাসহ নানা প্রস্তুতি নিতে লেগেছে অনেক সময়।